চট্টগ্রামের আনোয়ারায় পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনতাই করে নিয়ে গেছেন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা।
হামলার ঘটনায় অন্তত পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন কর্ণফুলী থানার ওসি জহির হোসেন।
চাতরি-চৌমুহনী এলাকায় শনিবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে শুক্রবার বিকেলে উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের আনোয়ারা সেন্টার এলাকায় বাজেটকে স্বাগত জানানোর পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ান আওয়ামী লীগের বিবাদমান দুই গ্রুপ সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও বর্তমান অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের অনুসারীরা।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর বিভাগের উপকমিশনার শাকিলা সুলতানা জানান, শনিবার রাত ১১টার দিকে আনোয়ারায় টানেলের প্রবেশমুখে ‘ভোজনবাড়ি’ নামে একটি রেস্তোরাঁ থেকে মামলার এক নম্বর আসামি মোজাম্মেলকে গ্রেপ্তার করতে যায় পুলিশ। আসামি মোজাম্মেলসহ একাধিক নেতা-কর্মী অবস্থান করছিলেন। ওই সময় নেতা-কর্মীরা গ্রেপ্তারে বাধা দেন। একপর্যায়ে তারা আসামি মোজাম্মেলকে ছিনিয়ে নেন।
তিনি জানান, কয়েক শ নেতা-কর্মী সেখানে ছিলেন। তারা পুলিশ সদস্যদের ঘিরে ধরে ধাক্কা দেন, গাছ দিয়ে আঘাত করেন এবং একপর্যায়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েকটি গুলি ছোড়ে।
কর্ণফুলী থানার ওসি জহির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুলিশের ওপর হামলা হয়। ঘটনার পর আমরা সেখান থেকে চলে আসি। আমাকে এবং আনোয়ারার ওসিকে মেডিক্যালে নেওয়া হয়। তখন জানতে পারি, আবার হামলা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চৌমুহনী বাজার থেকে এসআরএফের (স্পেশাল রিজার্ভ ফোর্স) একটি গাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে সেটিতে হামলা ও ভাঙচুর করে। সেখানে আরও চার-পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।’